বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষায় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আগমন বেশ কয়েকটি কারণে বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশে শাখা বা সহযোগিতামূলক প্রতিষ্ঠান খুলতে শুরু করেছে, যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে। তবে, প্রশ্ন হলো, এই পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের জন্য কতটা কার্যকরী হবে?
প্রথমত, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপস্থিতি দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ নিয়ে আসবে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণত বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করে, এবং তাদের শিক্ষায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও আধুনিক পাঠ্যক্রম থাকে। ফলে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যাতে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা পেতে পারে, তার জন্য এটি একটি বড় সুযোগ।
এছাড়া, বাংলাদেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা খোলার ফলে দেশে উচ্চশিক্ষার ব্যাপক বিস্তার ঘটবে। শিক্ষার্থীরা বিদেশে গিয়ে পড়ালেখা করার পরিবর্তে, ঘরের কাছেই বিশ্বমানের শিক্ষা লাভ করতে পারবে। এতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেশীয় শিক্ষার্থীদের মেলবন্ধন বৃদ্ধি পাবে, এবং দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আরও বৈশ্বিক হতে পারে।
কিন্তু, এর কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। যেমন, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি অনেক বেশি হতে পারে, যা সব শিক্ষার্থীর পক্ষে সাধ্যসীমার মধ্যে থাকবে না। এছাড়া, দেশে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি এগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় না দাঁড়ায়, তবে তাদের শিক্ষার মান উন্নত করা কঠিন হয়ে পড়বে।
সবশেষে, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আগমন বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। তবে, এর সফল বাস্তবায়ন ও সুফল পেতে হলে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নীতিগত সমর্থন এবং সহায়তা দিতে হবে, যাতে উচ্চশিক্ষা সমতাভিত্তিক ও সাশ্রয়ী হয়।