এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন দেশ যেখানে এর সম্ভাব্যতা ও ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করছে, সেখানে বাংলাদেশও এই প্রযুক্তি গ্রহণে পিছিয়ে নেই। দেশের প্রযুক্তি খাতের জন্য এটি এক নতুন বিপ্লবের সূচনা হতে পারে, তবে কি আমরা প্রস্তুত?
বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু হলেও, এটি এখনো সীমিত। তবে গত কয়েক বছরে সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেমন তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিশেষ জ্ঞানভিত্তিক কর্মশক্তি তৈরি, স্টার্টআপ সংস্কৃতি উৎসাহিত করা, এবং বিদেশি প্রযুক্তি কোম্পানির সাথে অংশীদারিত্ব।
তবে, সবচেয়ে বড় কথা হলো, AI বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ইতিমধ্যেই কিছুটা প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। যেমন, ফিনটেক, স্বাস্থ্যসেবা, এবং কৃষির মতো খাতে AI ব্যবহার হয়ে চলেছে। কৃষিতে, যেসব সমস্যা মেটাতে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে, সেখানে AI-র মাধ্যমে উন্নত ফসল উৎপাদন ও রোগ নিয়ন্ত্রণের উপায় বের করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবায়, AI দ্বারা রোগ নির্ণয়ের দ্রুত পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে, যা চিকিৎসকদের জন্য আরও সহজ এবং সময়সাশ্রয়ী।
এছাড়া, শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে AI ব্যবহার করা হচ্ছে, এবং অটোমেশন প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কারখানায় ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এই প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার আরও বেশি বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, নীতি সহায়তা এবং দেশের জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি।
যদিও এআই বাংলাদেশের জন্য নতুন, তবে এটি যে আমাদের উন্নয়ন পথে একটা বড় ভূমিকা রাখতে পারে, তা পরিষ্কার। বিশেষত, যদি সরকার আরও প্রযুক্তি-নির্ভর উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয় এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দেশের প্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিয়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশের জন্য এটি একটি নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে।