বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি বা “ঢাকা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি” গত কয়েক দশক ধরে এক stagnation বা স্থবিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ২০২৪ সালে কী বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের নতুন দিগন্ত আসছে? বিগত কিছু বছরে চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা এবং দর্শকরা মিলে অনেক আশা দেখছেন, নতুন সিনেমা ও থিয়েটার সংস্কৃতির মধ্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে।
২০২৩ সালে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল, যেগুলো দর্শকদের মধ্যে আলোড়ন ফেলেছে। বিশেষত, “আয়নাবাজি”, “ডুব”, “মিশন এক্সট্রিম” এবং “গলুই”-এর মতো সিনেমাগুলি আন্তর্জাতিক মানের ছিল এবং বাংলাদেশি সিনেমা শিল্পের একটি নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছে। তরুণ নির্মাতারা নানা ধরনের গল্প, ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ এবং নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করতে শুরু করেছেন, যা চলচ্চিত্রে নতুনতা নিয়ে এসেছে।
এছাড়া, OTT প্ল্যাটফর্মের মতো ডিজিটাল মিডিয়া বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য এক নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। অনেক নির্মাতা এখন ওয়েব সিরিজ ও ফিল্ম নির্মাণ করছেন, যা সাধারণ দর্শকদের কাছে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে বাংলাদেশের সিনেমা মুক্তি পেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। এই পরিবর্তন কেবল চলচ্চিত্রের উন্নতি নয়, দেশের সংস্কৃতির প্রচারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তবে, এই ভালো পরিবর্তনগুলির পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য বাজেটের সীমাবদ্ধতা, বিনিয়োগের অভাব এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি সিনেমার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে এখনও কিছু প্রশ্ন থেকে গেছে। তাছাড়া, দেশে সিনেমার হলের সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে, বড় সিনেমাগুলোর প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন বা প্রচার নিয়ে কিছু সমস্যাও রয়েছে।
২০২৪ সালটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর হতে পারে। যদি নির্মাতারা সঠিক কৌশল অবলম্বন করেন, এবং দর্শকরা আগের চেয়ে বেশি সিনেমা দেখার জন্য আগ্রহী হন, তবে চলচ্চিত্রের সেক্টরকে অনেক বড় উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আশা করা যায়, নতুন নির্মাণ, ভালো গল্প এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের শিল্প নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে যাবে।