ঢাকা শহর, বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র, আজকাল মাদক ব্যবসার বিস্তারে একটি বড় হটস্পট হয়ে উঠেছে। খোলামেলা মাদক ব্যবসা, বিশেষ করে ইয়াবা, হেরোইন, এবং অন্য মাদকদ্রব্যের অবাধ প্রচলন—এই সমস্যা এখন বড় আকারে ভর করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, পুলিশ প্রশাসনের কার্যক্রম কি যথেষ্ট এই বিপদ মোকাবেলা করতে?
প্রথমত, রাজধানী ঢাকায় মাদক ব্যবসা একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, যুবকরা মাদক গ্রহণের দিকে ঝুঁকছে, যার ফলে মানসিক ও শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। যেসব এলাকাগুলোতে মাদক ব্যবসা সবচেয়ে বেশি হয়, সেখানে পুলিশের কার্যক্রম অনেক সময় একেবারে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এর ফলে, মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।
এদিকে, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা কিছু ক্ষেত্রে শিথিল হওয়ার কারণে মাদক ব্যবসায়ী এবং বিক্রেতারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো মাঝে মাঝে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে, কিন্তু যথেষ্ট সংখ্যা ও সম্পদ না থাকায় এদের কার্যক্রম থামানো কঠিন হয়ে পড়ছে। মাদক ব্যবসা এতো ব্যাপক যে, সেগুলোর উৎস এবং বিক্রয় চক্র ভাঙতে পুলিশকে আরো বেশি সক্রিয় হতে হবে।
এছাড়া, পুলিশের পাশাপাশি সমাজের নানা স্তরের সহযোগিতা প্রয়োজন। অভিভাবক, শিক্ষক, এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছে যদি মাদকবিরোধী সচেতনতা পৌঁছানো যায়, তবে তার প্রভাব সমাজে দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন যদি মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য আরো কঠোর আইন প্রয়োগ এবং অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়, তবে এ সমস্যা কিছুটা কমানো সম্ভব।
তবে, মাদকব্যবসার এই বিস্তার রোধ করতে একমাত্র পুলিশের প্রচেষ্টা নয়, বরং একটি সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং জনসচেতনতার প্রয়োজন। সরকারের উচিত, মাদকবিরোধী কার্যক্রমের ক্ষেত্রে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং সামাজিকভাবে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার ও ব্যবসার বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে আরও শক্ত অবস্থান তৈরি করা।